সৌদির তেল শোধনাগারে ড্রোন হামলার পর দাম বেড়েছে জ্বালানির


সৌদি আরবের দুটি তেল ক্ষেত্রে হামলার পর অপরিশোধিত তেলের দাম গত চার মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিশ্বে জ্বালানি তেলের সরবরাহ ৫ শতাংশেরও বেশি কমে গেছে গত শনিবার সৌদি আরবের দুটি তেল ক্ষেত্রে হামলার পর। খবর বিবিসির।
দিনের শুরুতে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের মূল্য ১৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ব্যারেলপ্রতি প্রায় ৭২ ডলার হয়েছে।
তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দেশটির রিজার্ভ থেকে তেল ছাড়ার বিষয়টি অনুমোদন করার পর জ্বালানি তেলের দাম আবারও কমে আসে।
সৌদি আরবের যে দুটি তেল ক্ষেত্রে হামলা হয়েছে, সেগুলো পুনরায় উৎপাদনে আসতে কয়েক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে।
এই তেল ক্ষেত্র দুটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেল শোধনাগার। সৌদি আরব পৃথিবীর সবচেয়ে বড় জ্বালানি তেল রফতানিকারক দেশ। প্রতিদিন তারা ৭০ লাখ ব্যারেলের বেশি তেল রফতানি করে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এ হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করেছেন। অন্যদিকে ইরান বিষয়টিতে ‘ধোঁকাবাজি’ বলে বর্ণনা করেছে।
পশ্চিমাদের সমর্থিত সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ইয়েমেনের সরকারকে সমর্থন দিয়ে আসছে। ওদিকে দেশটির হুতি বিদ্রোহীদের সমর্থন দেয় ইরান।
সৌদি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান আরামকো পরিচালিত দুটি তেল শোধনাগারে এই হামলার দায় স্বীকার করে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা। কিন্তু পম্পেও তাদের সেই দাবি নাকচ করে দেন।
এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক টুইটবার্তায় বলেছেন, কারা এ হামলায় জড়িত সেটি তারা জানেন।