কুষ্টিয়ায় সরকারি চাল বিক্রি ও চাল আত্মসাতের দায়ে এক ইউপি চেয়ারম্যান ও এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে পৃথক মামলা হয়েছে।
সোমবার কুষ্টিয়ার জেষ্ঠ বিচারিক হাকিম সেলিনা খাতুন স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলাটি দায়ের করেন এবং এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্ট থানার ওসিদের আদেশ দেন।
ওই আদেশে আগামী জুনের ১০ তারিখের মধ্যে তদন্ত করে এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণসহ প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
মামলার নথিতে বলা হয়, দৌলতপুর উপজেলার ১৩ নম্বর খলিসাকুণ্ডি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজুল বিশ্বাসসহ সম্পৃক্তরা ওই ওয়ার্ডের ভিজিডি খাদ্য সহায়তা প্রকল্পের কার্ডধারী মদিনা খাতুনের কার্ড আটকে রেখে প্রতি মাসে ৩০ কেজি হিসেবে ১২ মাসে ৩৬০ কেজি চাল আত্মসাত করে আসছিলেন।
এছাড়া কুমারখালী উপজেলার সদকি ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আনছার আলী ও তার ভাই হানিফ সরকারি ওএমএসের চাল এলাকার মানুষের মাঝে বেশি দামে বিক্রয় করে আসছিলেন।
এ সংক্রান্ত একটি সংবাদ স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রকাশ হয় এবং ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা কুষ্টিয়ার আদালতের নজরে আসে বলে অভিযোগে বলা হয়।
এ ব্যপারে খলিসাকুণ্ডি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সিরাজুল বলেন, “একটি মহল রাজনৈতিক উদ্দেশ্য মিথ্যা বানোয়াট নিউজ করানোর জন্য আমার বিরুদ্ধে এ মামলা করেছে।এখন আমি জানতে পারছি ওই নারী তার চাল পান না।তাছাড়া তিনি কোনদিনও আমার কাছে আসেন নি।“কুমারখালী উপজেলার সদকী ইউনিয়ন পরিষদের ৬ ওয়ার্ডের সদস্য ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা আনছার আলী সেখ বলেন, “আমার বাড়িতে কোনো সরকারি চাল বিক্রি হয়নি; আমি নির্দোষ, মামলা হলে আর আমি কি করব? যা হয় হোক “
এ বিষয় দৌলতপুর থানার ওসি আরিফুর রহমান বলেন, সরকারি চাল আত্মসাতের ঘটনায় আদালতের আদেশের কপি এখনও হাতে পাইনি। হাতে পেলে নির্দেশনা অনুযায়ী আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কুমারখালী থানার অফিসার ওসি এএম মজিবুর রহমানও একই কথা জানা