সুশীল বাবু মইনুল খুনিদের নিয়ে দল গঠন করে: প্রধানমন্ত্রী

বঙ্গবন্ধুর খুনিদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়ার প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন অনেক কথা বলেন। আইনজীবী, সুধীসমাজ, সুশীল বাবু—তিনি কী করেছিলেন? ওই খুনি পাশা ও হুদাকে নিয়ে তিনি একটি রাজনৈতিক দল করেছিলেন—প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক শক্তি (প্রগশ)। জেনারেল এরশাদ এসে ওই খুনি ফারুককে দিয়ে ফ্রিডম পার্টি গঠন করায়। খালেদা জিয়া তো আরও একধাপ ওপরে গিয়ে খুনি ফারুক, রশীদ ও হুদাকে নির্বাচনে প্রার্থী করে। ফারুককে জিতাতে পারেনি।

মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৫ ফেব্রুয়ারির ভোটারবিহীন নির্বাচনে রশীদ ও হুদাকে নির্বাচিত ঘোষণা দিয়ে বিরোধী দলের নেতা বানায়। এরা কী করে অস্বীকার করবে যে এই হত্যাকাণ্ড ও ষড়যন্ত্রের সঙ্গে তারা জড়িত নয়।’

খুনিদের আশ্রয়দাতারা মানবাধিকার প্রশ্নে আমাদের নিষেধাজ্ঞা দেয়

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে যেসব দেশ মানবাধিকারের প্রশ্ন তুলে আমাদের ওপর স্যাংশন দেয়, তারা তো খুনিদের আশ্রয় দিয়ে রেখেছে। আমেরিকার সঙ্গে আমরা বারবার কথা বলেছি। কিন্তু এখনও তাকে দিচ্ছে না। তাকে তারা লালন-পালন করে রেখে দিচ্ছে। নূর কানাডায়। এদের থেকে আমাদের মানবাধিকারের ছবক নিতে হয়। তারা আমাদের মানবতার ছবক শেখায়, যারা আমার বাবা-মা-ভাই-নারী-শিশুদের হত্যা করেছে, তাদের রক্ষা করে। রশীদ লিবিয়ায় পড়ে থাকে। মাঝে মধ্যে পাকিস্তানে যায়। ডালিম পাকিস্তানের লাহোরে আছে, এটুকু জানি। কিন্তু খুব বেশি খবর পাওয়া যাচ্ছে না। মোসলেম উদ্দীন ইন্ডিয়ার আসামের কোনও অঞ্চলে ছিল, বহু চেষ্টা করেছি, খুঁজে পাওয়া যায়নি। এরা নামটাম পাল্টে রয়ে গেছে। এই কয়েকজনকে আমরা আনতে পারিনি এখনও। তবু চেষ্টা করে যাচ্ছি। বাকি সব খুনিকে একে একে আমরা নিয়ে এসেছি। যে কয়জনকে আমরা পেয়েছি, রায় কার্যকর করেছি।’