যুক্তরাষ্ট্রে একের পর এক বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটছে

যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলার ঘটনা ক্রমাগত ঘটে চলেছে। সেই সঙ্গে আত্মহত্যারও ঘটনা ঘটছে অনেক। এসব ঘটনায় মৃত্যুর বেশিরভাগ ঘটছে টেক্সাস, ক্যালিফোর্নিয়া, ফ্লোরিডা, জর্জিয়া, উত্তর ক্যারোলিনা, ইলিনয় এবং লুইসিয়ানাতে।

যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের দ্বিতীয় সংশোধনী অস্ত্র বহন করার অধিকার রক্ষা করে। এই সমস্যাটি অনেক রিপাবলিকানের জন্য একটি হট বাটন। রিপাবলিকানরা বন্দুক অধিকার গোষ্ঠী এবং নির্মাতাদের কাছ থেকে লাখ লাখ ডলার অনুদান পেয়ে থাকে।

২০২৩ সালে মাত্র সাড়ে চার মাসে মার্কিন সংবাদপত্রের শিরোনাম হয়েছে ‘শুটিং’। এ বছর ১ মে পর্যন্ত অন্তত ১৩ হাজার ৯শত ৫৯ জন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক সহিংসতায় মারা গেছেন। বন্দুক সহিংসতা আর্কাইভ অনুসারে, প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১১৫ জন মারা যাচ্ছেন। যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে ৪৯১ জন কিশোর ও ৮৫ জন শিশু।

বন্দুক সহিংসতা আর্কাইভের তথ্য অনুসারে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ২০১৪ সাল থেকে প্রতি বছর বন্দুক সহিংসতায় মৃত্যুর সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ৩৯ হাজারে। এখনও বন্দুকের মৃত্যু ২০১৬, ২০১৭ এবং ২০১৮ থেকে কম হয়েছে। যখন প্রতি বছর মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়েছে। ২০২২ সালে এই ধরনের ৪৪ হাজার ৩১০ জন মারা গিয়েছিল।

গত জুনে রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন কংগ্রেস দ্বারা পাস করা একটি বন্দুক সুরক্ষা প্যাকেজ আইনে স্বাক্ষর করেছিলেন। এটি কয়েক দশকের মধ্যে কংগ্রেসের প্রথম বন্দুক সংস্কার বিল। তবে বন্দুক সংস্কারের পক্ষে সমর্থনকারীরা কঠোর পদক্ষেপের জন্য চাপ অব্যাহত রেখেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন টেক্সাসের একটি মলে বন্দুকধারীসহ নয়জন নিহত হওয়ার প্রেক্ষাপটে বন্দুক নিয়ন্ত্রণ বিল পাস করার জন্য কংগ্রেসকে আহ্বান জানিয়েছেন। বাইডেন এর আগেও একই ধরনের আবেদন করেছেন। তিনি বলেন, ডালাসের উত্তর শহরতলির অ্যালেন প্রিমিয়াম আউটলেটস মলে আততায়ী কৌশলগত গিয়ার পরে ছিল এবং একটি এআর ফিফটিন স্টাইলের অ্যাসল্ট অস্ত্রে সজ্জিত ছিল।