নিজেদের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রবিবার আবারও ভোট দেবেন তুরস্কের নাগরিকরা। দেশটির জনগণের ভোটে যিনি বিজয়ী হবেন, আগামী পাঁচ বছর তুরস্ককে নেতৃত্ব দেবেন তিনি।
সূত্র : ডয়চে ভেলে
প্রথম পর্বের ভোটে এগিয়ে থাকলেও নির্বাচিত হতে পারেননি তুরস্কের বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ান। তুরস্কের নির্বাচনের নিয়ম অনুযায়ী প্রেসিডেন্টকে ৫০ শতাংশ সমর্থন পেতে হয়।
দেশটির ভোটাররা এমন একটা সময়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন, যার তিন মাস আগেই ভয়ংকর ভূমিকম্পে তছনছ হয়ে গেছে দেশটি।
প্রথম পর্বে বিভিন্ন জরিপে ধর্মনিরপেক্ষ রিপাবলিকান পিপলস পার্টির নেতা (সিএইচপি) কামাল কিরিচদারোলু বর্তমান প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের চেয়ে সামান্য এগিয়ে ছিলেন। কিন্তু নিজের রাজনৈতিক জীবনে প্রথমবারের মতো তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়লেও এসব জরিপকে ভুল প্রমাণ করেছেন এরদোয়ান।
এবার নানা হিসাবেই বেশ গুরুত্বপূর্ণ তুরস্ক নির্বাচন। শেষ পর্যন্ত যিনি জয়ী হবেন, তিনি শুধু ন্যাটোভুক্ত দেশটির সাড়ে আট কোটি মানুষের নেতৃত্বই দেবেন না, বরং গভীর খাদে পড়া অর্থনীতিকে টেনে তোলা হবে বড় চ্যালেঞ্জ। পরবর্তী নির্চানের ওপর নির্ভর করবে দেশটির পররাষ্ট্রনীতি।
তুরস্কের অর্থনীতিও এই নির্বাচনের একটা বড় ফ্যাক্টর। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, গত বছর মূল্যস্ফীতি ৮৫ শতাংশে পৌঁছেছে। গত এক দশকে ডলারের বিপরীতে দেশটির মুদ্রা লিরার মান তার মূল্যের এক-দশমাংশে নেমে এসেছে। বিপরীতে প্রচলিত অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় ফিরে যাওয়া এবং দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাধীনতা পুনরুদ্ধারে জনগণের প্রতি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কিলিচদারোলু।
এরদোয়ানের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় সমালোচনা হচ্ছে, তার সরকার ভিন্নমতকে স্তব্ধ করে দিয়েছেন, তাদের অধিকারকে ক্ষুণ্ণ করছেন। এমনকি দেশের বিচারব্যবস্থাকে কুক্ষিগত করে রেখেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। যদিও এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে তার প্রশাসন।
পররাষ্ট্র ইস্যুর মধ্যে, এরদোয়ানের নেতৃত্বে মধ্যপ্রাচ্য এবং তার বাইরেও সামরিক শক্তিতেও কিছুটা পিছু হটেছে তুরস্ক। অন্যদিকে রাশিয়ার সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কারণে পশ্চিমা বিশ্বেও বিরাগভাজন হয়েছেন এরদোয়ান। ফলে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক ক্রমেই অবনতির দিকে যাচ্ছে।