সৌদির স্থপতিকে হৃদয়ের রানী করে নিলেন জর্ডানের ক্রাউন প্রিন্স

সৌদি আরবের স্থপতি রাজওয়া আল সাইফের সঙ্গে বিয়ে সম্পন্ন হলো জর্ডানের যুবরাজ হুসেইন বিন আবদুল্লাহর।

বৃহস্পতিবার জর্ডানের রাজধানী আম্মানের প্রাসাদে জমকালো আয়োজনে ওই তরুণীকে হৃদয়ের রানী করে নেন প্রিন্স। হুসেইনের বয়স ২৮ বছর আর রাজওয়ার বয়স ২৯ বছর। 

 সূত্র: ‍বিবিসি

হুসেইন জ্বালানি তেলসমৃদ্ধ জর্ডানের ভবিষ্যৎ বাদশা। তাদের এ বিয়ের মাধ্যমে জর্ডানের সঙ্গে প্রতিবেশী সৌদি আরবের কৌশলগত মিত্রতা আরও জোরদার হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

জর্ডানের রাজনৈতিক বিশ্লেষক আমের সাবাইলেহ বলেন, এটা শুধু একটি বিয়ের আয়োজন নয়। এটা জর্ডানের ভবিষ্যৎ বাদশাহকে সবার সামনে তুলে ধরার একটি রাজকীয় আয়োজন। তাই তো যুবরাজের বিয়ে উপলক্ষ্যে এদিন জর্ডানে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়।

বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহ ও রানি রানিয়ার বড় ছেলে যুবরাজ হুসেইন যুক্তরাষ্ট্রের জর্জটাইন ইউনিভার্সিটিতে পড়ালেখা করেছেন। সামরিক প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। রাজনীতি–সচেতন হুসেইন জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ভাষণ দিয়েছেন। দেশে-বিদেশে দারুণ জনপ্রিয় তিনি। তাই হুসেইনের বিয়ে জর্ডানবাসীর জীবনে আনন্দের উপলক্ষ্য এনে দিয়েছে।

রাজকীয় বিয়ের এ আয়োজন ঘিরে সেজে উঠে পুরো আম্মান। পথের ধারে, বাসে বর-কনেকে অভিনন্দন জানিয়ে ব্যানার-ফেস্টুন টাঙানো হয়। কেননা সাম্প্রতিক সময়ে এটাই জর্ডানের রাজপরিবারে সবচেয়ে আলোচিত ও জাঁকজমকপূর্ণ বিয়ের আয়োজন।

বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ঐতিহ্য অনুযায়ী মনোমুগ্ধকর মোটর শোভাযাত্রার মাধ্যমে তারা ফিরে যান রাজপ্রাসাদে। এ সময় রাস্তার দুইপাশে ভিড় করেন হাজার হাজার মানুষ। হাত নেড়ে অভিবাদন গ্রহণ করেন যুবরাজ ও তার নববধূ।

বিয়েতে হাজির হন ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্য প্রিন্স উইলিয়াম ও তার স্ত্রী কেট মিডলটন।

ঐতিহ্য অনুযায়ী যুবরাজের বিয়ে পূর্ব আয়োজনে যোগ দেন পরিবার ও সেনাবাহিনী। পারিবারিক আবহে আনন্দ-হইচইয়ের পর হয় মূল আনুষ্ঠানিকতা। বাদশাহ আব্দুল্লাহর বড় ছেলে অর্থাৎ সিংহাসনের উত্তরাধিকারীকে অভিনন্দন জানানো হয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে। শুভ কামনা জানান পরিবারের সদস্যরা।