বেইজিংয়ে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ব্লিংকেনের সাক্ষাৎ

চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গাংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন। রোববার উচ্চপর্যায়ের দুদিনের কূটনৈতিক সফরের শুরুতে বেইজিং পৌঁছে তিনি কিং গাংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। 

সূত্র: আলজাজিরা, এএফপি, রয়টার্সের

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর এটিই যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ের কোনো কূটনীতিকের চীন সফর। তাছাড়া ব্লিংকেনের এই সফরের মধ্যে দিয়ে গত ৫ বছরে প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী চীন সফরে গেলেন।

ব্লিংকেনের এ সফরে তাইওয়ান নিয়ে তৈরি উত্তেজনার বিষয়টি আলোচনায় গুরুত্ব পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাছাড়া দুদেশের সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পথ খুঁজতে আলোচনা হতে পারে বলে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।

ফেব্রুয়ারিতেই ব্লিংকেনের এই সফর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তখন যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে বেলুন উড়ার ঘটনায় ওই সফর স্থগিত করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, সেগুলো চীনের পাঠানো গোয়েন্দা বেলুন। অবশ্য বেইজিং এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

চীনের উদ্দেশে যাত্রা করার আগে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেন বলেন, দুপক্ষের সম্পর্ককে কীভাবে আরও দায়িত্বশীলতার সঙ্গে বজায় রাখা যায় সেই পথ খোঁজার চেষ্টা করব। শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে ব্লিংকেন বলেন, তিনটি প্রধান লক্ষ্য নিয়েই তিনি চীন সফরে যাচ্ছেন।
সংকট মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় ‘ম্যাকানিজম’ স্থাপন, যুক্তরাষ্ট্র এবং এর মিত্রদের স্বার্থ রক্ষা সেই সঙ্গে এর সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলা এবং সহযোগিতার সম্ভাবনাময় বিভিন্ন ক্ষেত্র অনুসন্ধান করা। ব্লিংকেন বলেন, চীনের সঙ্গে আমাদের যে প্রতিযোগিতা রয়েছে সেটা যাতে বিরোধে পরিণত না হয় তা নিশ্চিত করতে আমাদের যোগাযোগ শুরু করতে হবে। চীন সফর শুরুর আগেই ব্লিংকেন যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র বলে পরিচিত জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন।

বাইডেন প্রশাসনের নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভানও জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া এবং ফিলিপাইনের সঙ্গে আলাদা ত্রিপক্ষীয় বৈঠক করতে টোকিও সফরে আছেন। 

দুদিনের সফরে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গাং ছাড়াও ব্লিংকেন প্রেসিডেন্ট জি শিনপিংয়ের সঙ্গেও বৈঠক করবেন বলে জানা গেছে।

দুদেশের সম্পর্কের বিষয়ে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, শক্তিশালী অবস্থানে থেকে চীনের সঙ্গে সম্পর্ক রাখার যে ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রকে তা ত্যাগ করতে হবে।

তিনি বলেন, পারস্পরিক সম্মান এবং সমতার ভিত্তিতে এবং দুদেশের ইতিহাস, সংস্কৃতি, সামাজিক উন্নয়নের যে পার্থক্য সেসব বিষয়কে সম্মান করে দুদেশের সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে হবে।