চেয়ারম্যান হলেন ৯ এমপির স্বজন, হেরেছেন দুজন

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে বুধবার১৩৯টি উপজেলায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৫৭টি উপজেলার বেসরকারি ফলাফল পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৪৯টি উপজেলায় আওয়ামী লীগের নেতারাই চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। আবার এর মধ্যে আট জন এমপির স্বজন।

এর বাইরে জনসংহতি সমিতি–সমর্থিত দুজন, জাতীয় পার্টির দুজন নেতা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত এক নেতা ও ইসলামী আন্দোলনের বহিষ্কৃত নেতা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এর বাইরে বিজয়ী দুজন চেয়ারম্যান কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন।

সুবর্ণচরে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরীর ছেলে আতাহার ইশরাক শাবাব চৌধুরী। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদের তিনবারের চেয়ারম্যান এ এইচ এম খাইরুল আনম চৌধুরীর বিপরীতে প্রার্থী হয়েছিলেন।

পিরোজপুরের নাজিরপুরে চেয়ারম্যান হয়েছেন এস এম নূরে আলম শাহীন। তিনি পিরোজপুর-১ আসনের এমপি শ ম রেজাউল করিমের ভাই।

মাদারীপুর সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন মাদারীপুর-২ আসনের এমপি শাজাহান খানের বড় ছেলে আসিবুর রহমান খান।

কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান হয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা। তিনি আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া সদর আসনের এমপি মাহবুব উল আলম হানিফের চাচাতো ভাই।

খাগড়াছড়ির রামগড়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন বিশ্ব প্রদীপ কার্বারি। তিনি আওয়ামী লীগের এমপি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার জামাতা।

বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন ঠাকুরগাঁও-২ আসনের সংসদ সদস্য মাজহারুল ইসলামের চাচা সফিকুল ইসলাম।

তবে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে পরাজিত হয়েছেন হারুনুর রশীদ। তিনি স্থানীয় এমপি আব্দুর রাজ্জাকের খালাতো ভাই।

মৌলভীবাজারের বড় লেখায় পরাজিত হয়েছেন স্থানীয় এমপি শাহাব উদ্দিনের ভাগনে সোয়েব আহমেদ।