যে কোন অনলাইন অ্যাকাউন্টে টু-স্টেপ ভেরিফিকেশন সুরক্ষার একটি অতিরিক্ত স্তর যোগ করে। অ্যাকাউন্ট পাসওয়ার্ডের উপর পৃথক সুরক্ষা স্তর হিসাবে কাজ করে এই পদ্ধতি। টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন ব্যবহার করলে অ্যাকাউন্ট হ্যাক হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটা কমে যায়।
টু-স্টেপ অথেনটিকেশন অন করার পরে অ্যাকাউন্ট লগ ইন করতে পাসওয়ার্ড দেওয়ার পরে আবার কিছু একটা দিতে হবে। সেটা কোন কোড অথবা ফিঙ্গারপ্রিন্টের মতো বায়োমেট্রিক অথেনটিকেশন হতে পারে।
অ্যাকাউন্টে অতিরিক্ত সুরক্ষা স্তর যোগ করলে হ্যাকিংয়ের সম্ভাবনা কমে যায়। এক নজরে দেখে নিন- জিমেইল, ফেসবুক অথবা ইন্সটাগ্রামে টু স্টেপ অথেনটিকেশন অ্যাকটিভ করবেন যেভাবে-
জিমেইল
বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ই-মেইল সার্ভিস জিমেইল। জিমেইলে টু-স্টেপ অথেনটিকেশন শুরু করার উপায় দেখে নিন-
স্টেপ ১ – গুগল অ্যাকাউন্ট লগ ইন করুন।
স্টেপ ২ – বাঁ দিকের প্যানেলে সিকিউরিটি সিলেক্ট করুন।
স্টেপ ৩ – এবার ‘সাইনিং ইন টু গুগল’ সিলেক্ট করুন। এখানে ‘২-স্টেপ ভেরিফিকেশন’ এনেবেল করে দিন।
স্টেপ ৪ – এবার টু স্টেপ ভেরিফিকেশন সেট আপ করতে হবে।
স্টেপ ৫ – এবার পাসওয়ার্ড টাইপ করে নিজের অ্যাকাউন্ট যাচাই করুন।
স্টেপ ৬ – এবার কীভাবে এই কোড গ্রাহকের কাছে পৌঁছবে তা সিলেক্ট করতে হবে।
স্টেপ ৭ – এর পরে টু স্টেপ ভেরিফিকেশন শুরু হয়ে যাবে।
ফেসবুক
স্টেপ ১ – সেটিংসে যান।
স্টেপ ২ – এবার সিকিউরিটি অপশন সিলেক্ট করে লগ ইন সিলেক্ট করুন।
স্টেপ ৩ – নীচে ‘টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন’ সিলেক্ট করুন।
স্টেপ ৪ – ডান দিকে নীচে ম্যানেজ বাটনে ক্লিক করুন।
স্টেপ ৫ – এবার কীভাবে টু স্টেপ অথেনটিকেশন শুরু করতে চান সিলেক্ট করুন।
স্টেপ ৬ – এর পরে ফেসবুকে টু স্টেপ অথেনটিকেশন শুরু হয়ে যাবে।
ইন্সটাগ্রাম
স্টেপ ১ – ইন্সটাগ্রাম ওপেন করুন।
স্টেপ ২ – নিজের প্রোফাইল ওপেন করুন।
স্টেপ ৩ – তিনটি লাইন আইকন সিলেক্ট করুন।
স্টেপ ৪ – ড্রপ ডাউন মেনু থেকে সেটিংস সিলেক্ট করুন।
স্টেপ ৫ – সিকিউরিটি সিলেক্ট করুন।
স্টেপ ৬ – এখানে টু স্টেপ অথেনটিকেশন সিলেক্ট করতে হবে।
স্টেপ ৭ – একাধিক অপশনের মধ্যে নিজের পছন্দের বেছে নিন।
স্টেপ ৮ – এর পর ইন্সটাগ্রামে টু স্টেপ অথেনটিকেশন শুরু হয়ে যাবে।