সরকার নার্ভাস, তাই ডেঙ্গুকেও গুজব বলছে: মোশাররফ


জনসমর্থন না থাকায় সরকার ‘নার্ভাস হয়ে গেছে’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেছেন, এই সরকার কিন্তু এখন নার্ভাস। তাই নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করতে ডেঙ্গুকেও এখন তারা গুজব বলছে। কিন্তু মনে রাখতে হবে- বাংলাদেশের মানুষ এত বোকা নয়।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সোমবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে জাসাস আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, কোনো স্বৈরাচার সরকার, কোনো অস্বাভাবিক সরকার বেশি দিন ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারেনি, এই সরকারও পারবে না।
তিনি বলেন, সরকার তাদের ব্যর্থতা আড়াল করতে কথায় কথায় সব ঘটনাকে গুজব বলে উড়িয়ে দিচ্ছে। বর্তমানে দেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা বন্যা ও ডেঙ্গুজ্বর। এ দুই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সরকার তাদের ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। ডেঙ্গুজ্বর এটি নতুন কিছু নয়। আমিও স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছিলাম। তখনও ডেঙ্গুজ্বর হয়েছে। কিন্তু আমাদের পূর্বপ্রস্তুতি ছিল। কিন্তু এ সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং দুই মেয়র ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। এগুলোকে তারা গুজব বলে উড়িয়ে দিতে চেয়েছিল। তাদের এই ব্যর্থতা এবং অবহেলার কারণেই ডেঙ্গুজ্বর আজকে মহামারী আকার ধারণ করেছে।
সরকারের ব্যর্থতায় বাংলাদেশে সব ধরনের বিপর্যয় নেমে এসেছে মন্তব্য করে বিএনপির অন্যতম এ জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, এই যে বাংলাদেশে এখন যতসব ঘটনা ঘটছে, সব ঘটনা এই সরকারের ব্যর্থতার জন্য হচ্ছে। এ ব্যর্থতা কেন? যেহেতু এ সরকার জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে না সে জন্য। জনগণের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তাই তারাও তাদের কর্মকাণ্ডে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে চায় না।
তিনি বলেন, মিথ্যা অভিযোগে দায়ের করা মামলায় খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রাখা হয়েছে। তিনি কেন কারাগারে? প্রধানমন্ত্রী বুঝতে পেরেছিলেন যে, খালেদা জিয়া বাইরে থাকলে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। সে কারণে বেগম জিয়া আজকে কারাগারে।
খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই উল্লেখ করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘সারা দেশের মানুষ এখন একটিই আওয়াজ তুলেছে- খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই। আমরা দেশনেত্রীর মুক্তির দাবিতে বরিশাল, চট্টগ্রাম, খুলনায় সমাবেশ করেছি। সেখানে শত বাধাবিপত্তির মধ্যেও হাজার হাজার জনগণ একটি আওয়াজ তুলেছে- আমরা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই।’
মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে মিথ্যা অভিযোগকারী প্রিয়া সাহার বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত ব্যবস্থা না নেয়ায় সরকারের কঠোর সমালোচনা করে ড. মোশাররফ বলেন, ‘এই যে প্রিয়া এত বড় মিথ্যাচার করল এর জন্য অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া সরকারের উচিত। প্রথম দিকে সরকারের মন্ত্রীরা ব্যবস্থা নেয়ার কথা বললেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেটি বন্ধ করে দিয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই আমরা যদি বলি- এর মধ্যে অবশ্যই কোনো রহস্য আছে। প্রধানমন্ত্রী ধামাচাপা দিতে চাচ্ছেন। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ এত বোকা নয়।’
আয়োজক সংগঠনের সহসভাপতি ও ঢাকা মহানগরের আহ্বায়ক মীর সানাউল হকের সভাপতিত্বে সমাবেশে জাসাসের সভাপতি ড. মামুন আহমেদ, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরীন, জাসাসের সহসভাপতি লিয়াকত হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক খলনায়ক সিবা শানু প্রমুখ বক্তব্য দেন।