দ্বিতীয় সেশনে ৪ উইকেট তুলে প্রোটিয়াদের চাপে রেখেছে বাংলাদেশ

চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনে দক্ষিণ আফ্রিকার মাত্র একটি উইকেট নিতে পেরেছিল বাংলাদেশ। সেখানে দ্বিতীয় সেশনে ৫২ রানে তুলে নেওয়া গেলো ৪টি! তাতে লিড বাড়িয়ে নেওয়ার পথে থাকা প্রোটিয়াদের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করতে পেরেছে সফরকারী দল। চা পানের বিরতিতে যাওয়ার আগে ৬১ ওভারে দ্বিতীয় ইনিংসে প্রোটিয়াদের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১৫৭ রান। প্রথম টেস্টে স্বাগতিকরা এগিয়ে আছে ২২৬ রানে। ক্রিজে আছেন রায়ান রিকেলটন (১৮) ও উইয়ান মুল্ডার (৬)।

অথচ ডারবান টেস্টের চতুর্থ দিন প্রথম সেশনে আধিপত্য ছিল প্রোটিয়াদের। তাও অবশ্য ভাগ্য সহায় ছিল বলে। আগের দিনের কোনও উইকেট না হারিয়ে ৬ রান নিয়ে খেলা শুরু করেন দুই ওপেনার ডিন এলগার ও সারেল এরউই। যদিও এরউই বেশিদূর যেতে পারেননি। এবাদত হোসেনের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে গেছেন প্যাভিলিয়নে। ৫১ বলে ৮ রান করা প্রোটিয়া ওপেনারকে আউট দেননি ফিল্ড আম্পায়ার। তবে জোরালো আবেদন তোলা বাংলাদেশ রিভিউয়ে সফল হয়।

এক ডিন এলগার দুই জীবন পেয়ে হাফসেঞ্চুরি তুলে নিয়েছিলেন। বাংলাদেশ শিবিরে ছড়াচ্ছিলেন ভীতিও। লাঞ্চের পর সেই এলগারকে বিদায় দেন তাসকিন আহমেদ।

লাঞ্চ বিরতির পর তখন পঞ্চম ওভার চলছে। তাসকিন ওভারের তৃতীয় বলে গুড লেংথের বল ফেলেছিলেন। বল লাগে পরাস্ত এলগারের প্যাডে। আম্পায়ার আবেদনে সাড়া না দিলে রিভিউ নেয় বাংলাদেশ। তাতে অবশেষে মেলে সাফল্যও। শেষ পর্যন্ত ১০২ বলে ৬৪ রানে ফেরেন প্রোটিয়া অধিনায়ক। তার ইনিংসে ছিল ৭টি চার।

বিপজ্জনক জুটি ভাঙার এক ওভার পর কেগান পিটারসনকে রান আউটের সুযোগ হাতছাড়া করেন মিরাজ। অথচ প্রথম ইনিংসে এই মিরাজই পিটারসেনকে অবিশ্বাস্য এক রান আউটে ফিরিয়েছিলেন। অবশ্য সেটি পুষিয়েও দিয়েছেন বল করতে এসে। পিটারসেনকে তালুবন্দী করিয়েছেন ৩৬ রানে। প্রোটিয়া ব্যাটার শর্ট লেগে ক্যাচ দিয়েছেন জয়কে।

গুরুত্বপূর্ণ দুই ব্যাটারকে ফেরানোর পর তেম্বা বাভুমা আর লড়াইয়ে নামবেন কী? উল্টো তাকে দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে তালুবন্দি করিয়েছেন এবাদত। ডিন এলগারের ক্যাচ মিস করা ইয়াসির এবার আর ভুল করেননি। একহাতে বাভুমার দুর্দান্ত ক্যাচ নেওয়াতে এই টেস্টে প্রোটিয়াদের চাপে ফেলতে পেরেছে বাংলাদেশ।

মোমেন্টাম বদলে যাওয়ায় এর পর থিতু হওয়ার ৫১তম ওভারে মিরাজের বলেই এলবিডাব্লিউ হয়েছিলেন ভেরিয়েনে। অনফিল্ড আম্পায়ার আঙুলও তুলেছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকা রিভিউ নিলে বেঁচে যান ভেরিয়েনে। তবে এক ওভার পর আর শেষ রক্ষা হয়নি প্রোটিয়া এই ব্যাটারের। সেই মিরাজের বলেই তালুবন্দি হয়েছেন। ভেরিয়েনে রিভার্স সুইপ খেলতে গেলে লোয়ার প্যাডে বল লেগে উঠে যায় বাতাসে। সিলি পয়েন্টে থাকা সাদমান সেটি লুফে নিতে কোনও ভুল করেননি। তাতে ৬ রানে ফিরতে হয়েছে ভেরিয়েনেকে। নতুন নামা উইয়ান মুল্ডারকেও ফেরানো গেলে প্রোটিয়াদের ভীষণ বিপদে ফেলা যেত। নিজের করা বলে ক্যাচ উঠলেও খালেদ দৌড়িয়ে গিয়েও সেটি হাতে জমাতে পারেননি।