‘মোখা’ মোকাবেলায় কক্সবাজার-চট্টগ্রামে প্রস্তুত ১৬০৬ আশ্রয়কেন্দ্র

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোকাবেলায় কক্সবাজার ও চট্টগ্রামে ১৬০৬টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত করার কথা জানিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।

এসব কেন্দ্রে ১০ লাখ সাত হাজার ১০০ জনকে আশ্রয় দেওয়া সম্ভব বলে শুক্রবার মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকায় ৫৭৬টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত আছে, যেসবে পাঁচ লাখ ৫০ হাজার ৯৯ জনকে রাখা যাবে।

এ জেলায় ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) ৮৬০০ জন এবং রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির দুই হাজার ২০০ স্বেচ্ছাসেবী প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

আবহাওয়াবিদরা যেমন ধারণা করেছিলেন, সেভাবেই উত্তর উত্তর-পশ্চিম দিকের গতিপথ বদলে বাঁক নিয়ে উত্তর উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হতে শুরু করেছে মোখা।

মোখা ইতিমধ্যে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। কক্সবাজারে টিন, বাঁশ, কাঠ ও পলিথিন দিয়ে বানানো ঘরে রোহিঙ্গারা কীভাবে এই ঝরকে সামলাবেন, সেই প্রশ্নে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের তরফে প্রাথমিকভাবে কক্সবাজারে ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ৫৯০ মেট্রিক টন চাল, সাড়ে তিন মেট্রিক টন টোস্ট বিস্কুট, তিন টন ড্রাই কেক, ২০ হাজার খাবার স্যালাইন ও ৪০ হাজারটি পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

আর চট্টগ্রামে প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৫৩০টি স্থায়ী ও ৫০০টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র। এসব কেন্দ্রের ধারণক্ষমতা পাঁচ লাখ এক হাজার ১১০ জন।

এরইমধ্যে সিপিপির ৮৮৮০ জন ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির আট হাজার স্বেচ্ছাসেবীকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তারা আবহাওয়ার বার্তা প্রচার করছে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মোখা মোকাবিলায় কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম প্রশাসনের সব স্তরে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন, পৌর ও ইউনিয়ন ওয়ার্ড কমিটি যাতে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করে, সেজন্য সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।