ঘুর্ণিঝড় ‘মোখা’র প্রভাবে সুন্দরবনের নদ-নদীতে বাড়ছে জোয়ারের পানি

ঘুর্ণিঝড় ‘মোখা’র প্রভাবে সুন্দরবনের দুবলা চরসহ নদী-খালে স্বাভাবিকের তুলনায় জোয়ারে দেড় থেকে দুই ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।

সুন্দরবন সংলগ্ন সাগর ক্রমশ উত্তাল হয়ে উঠছে বলে বন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। এছাড়া বাগেরহাট জেলায় এদিন রৌদ্রজ্জ্বল আবহাওয়া ও তীব্র গরম ছিল। বিকেল পর্যন্ত কোন ঝড়ো বাতাস বা আকাশে মেঘ ছিল না।

এদিকে সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন জানান, ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র কারণে বনবিভাগের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করে তাদের প্রত্যেককে নিজ নিজ কর্মস্থলে থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। পর্যাপ্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় খাবারসহ শুকনা খাবারও মজুতের জন্য বনবিভাগের প্রত্যেক স্টেশন ও ফাঁড়িকে বলা হয়েছে। মোখার ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে বনবিভাগের সব রেঞ্জ, স্টেশন ও টহল ফাঁড়িতে থাকা আগ্নেয়াস্ত্রসহ অন্যান্য মূল্যবান মালামাল সাবধানে রাখার জন্য পাশাপাশি বন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরাপদে থাকার নিদের্শনা দেয়া হয়েছে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান (বিপিএএ) জানান, ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবেলায় সকল ধরণের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ ও নির্দেশনা দেয়া হয়। একই সঙ্গে জেলার ৪৪৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।

অপরদিকে, কোস্টগার্ডের পক্ষ থেকে সুন্দরবনসংলগ্ন উপকূলে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় মাইকিং করে জনসাধারণকে নিরাপদে সর্তক থাকার জন্য বলা হচ্ছে।