নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকার ছাড়া কোনো বিকল্প নেই

সংলাপ প্রশ্নে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য ‘জনদৃষ্টি ভিন্নখাতে নেয়ার কৌশল’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ‘ডাইভারশন’ করা খুব ভালো জানে। যখন মানুষ বিদ্যুৎ নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ছে, তখন আরেকটা ইস্যু তৈরি করে ফেলছে যেন এটাকে ‘ডাইভার্ট’ করা যায়।

বৃহস্পতিবার (৮ জুন) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে জিয়াউর রহমানের ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় বিএনপির সঙ্গে সংলাপে বসার সম্ভাবনা নিয়ে ১৪ দলীয় জোটের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদের বক্তব্যের প্রসঙ্গ ধরে এ কথা বলেন ফখরুল। বাংলাদেশে গণতন্ত্র সংকট উত্তরণ প্রয়াসে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা একটি পর্যালোচনা’ শীর্ষক এ অলোচনা সভার আয়োজন করে ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব)।

সংলাপ নিয়ে আমির হোসেন আমুর বক্তব্য প্রসঙ্গ ধরে ফখরুল বলেন, আমাকে এক সাংবাদিক ভাই জিজ্ঞাসা করলেন, এ নিয়ে আপনার কি কোনো মতামত আছে কী বিষয় ভাই? আমির হোসেন আমু কে? সে আওয়ামী লীগের কী এখন? তাকে ছোট করছি না, তো আসলে তিনি আওয়ামী লীগের স্পোকসম্যান না, উপদেষ্টাণ্ডলীর সদস্য। তারপরেই আওয়ামী লীগের মুখপাত্র বললেন যে, এটা তাদের বক্তব্য না।

বিকেলে হোম মিনিস্টার বলছেন, সংলাপের কোনো বিকল্প নাই। একটাই উদ্দেশ্য আপনাকে ডাইভার্ট করা। আপনার যে লক্ষ্য, আমি একটা নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকার ছাড়া নির্বাচনে যাব না, সেখান থেকে আপনাকে ডাইভার্ট করা আর বিদ্যুতের যে সমস্যা সেখান থেকেও ডাইভার্ট করা। যত ডাইভারশন করেন জনগণ বোঝে সব।

কথা আগের মতো, পদত্যাগ করুন
নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকার ছাড়া কোনো বিকল্প নেই মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) বলতেন, তোমরা এটাকে তত্ত্বাবধায়ক বল আর যাই বল, নির্বাচনের সময়ে আমার একটা নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকার দরকার। আমাদের কথা সেই আগের মতো পদত্যাগ করেন, ওই ব্যবস্থাটা দিন। আমরা দেখে নেবো কী হবে না হবে।

এসময় তিনি বলেন, এদেশের মানুষ লড়াই করে সব কিছু অর্জন করেছে। সেই বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার সব কিছুই লড়াই করে সংগ্রাম করে অর্জন করেছে। তিনি বলেন, এই লড়াইয়ে আমরা সহ সমগ্র জাতি নেমেছে। আমরা বিএনপিকে ক্ষমতায় নিয়ে যেতে নয়, জনগণের মুক্তির জন্য আন্দোলন করছি।

আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক শামসুল আলম সেলিম, অধ্যাপক তৌফিকুল ইসলাম মিথিল ও খান মো. মনোয়ারুল ইসলাম শিমুল। ইউট্যাবের সভাপতি অধ্যাপক এবিএম ওবায়দুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং মহাসচিব অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান ও সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক নুরুল ইসলামের যৌথ সঞ্চালনায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য অধ্যাপক ফরহাদ হালিম ডোনার, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।