এলেন, দেখলেন, জয় করলেন!
হোসেলুকে নিয়ে এমনটা তো লেখাই যায়। তিনি যা করলেন তা এক কথায় অবিশ্বাস্য, অবর্ণনীয়, অকল্পনীয়।
চ্যাম্পিয়নস লিগে এমনটাই তো করে থাকে রিয়াল মাদ্রিদ। ফিরে আসার দারুণ গল্প তাদের চেয়ে ভালো আর কেইবা লিখতে পারে। তাও আবার চ্যাম্পিয়নস লিগের মতো মঞ্চে।
ম্যাচের শুরুতেই আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে জমে ওঠে খেলা। যদিও প্রথমার্ধের অনেকটা জুড়ে দাপট দেখায় রিয়াল। ডেডলক ভাঙার খুব কাছ থেকেই বারববার ফিরতে হয় তাদের। ম্যাচের ১৩ মিনিটে দুরূহ কোণ থেকে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। ফিরতি বলে রদ্রিগো শট নিলেও তা ঠেকিয়ে দেন ম্যানুয়েল নয়্যার।
বায়ার্ন গোলরক্ষক এরপর একের পর এক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হন। ৩৮ বছর বয়সেও যে তার ঝাঁজ কমেনি, সেটাই যেন দেখিয়েছেন এই ম্যাচে। ৪০ মিনিটে ভিনিসিয়ুসের বাড়ানো বল কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন নয়্যার। বিরতির আগপর্যন্ত গোলমুখে দুটি শট নেয় বায়ার্ন। কিন্তু জালের দেখা পায়নি।
দ্বিতীয়ার্ধেও বলের দখল আগের মতোই ধরে রাখে রিয়াল। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ান সেই নয়্যার। ৫৯ মিনিটে ২৫ গজ দূর থেকে নেওয়া রদ্রিগোর বুলেট গতির ফ্রি-কিক বেশ দক্ষতার সঙ্গে ঠেকিয়ে দেন এই গোলরক্ষক। পরের মিনিটেই ফের গোলবঞ্চিত রাখেন ভিনিসিয়ুসকে।
এরপর আক্রমণে যাওয়ার সুযোগ তৈরি করে বায়ার্ন। সেখান থেকে গোলের দেখা পেতে খুব বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি তাদের। ৬৮ মিনিটে হ্যারি কেইনের অসাধারণ পাস খুঁজে নেয় ‘আনমার্ক’ থাকা আলফোনসো ডেভিসকে। সামনে আন্তোনিও রুডিগার ও দানি কারভাহাল থাকলেও তাদের দুজনের মাঝখানেই বক্সের বাইরে থেকে কোনাকুনি শট নেন এই লেফট ব্যাক। তা রিয়াল গোলরক্ষক আন্দ্রি লুনিন ঝাঁপিয়ে পড়েও ঠেকাতে পারেননি।
পিছিয়ে পড়ে দ্রুতই সমতায় ফিরেছিল রিয়াল। লুকা মদ্রিচের কর্নার থেকে গোলমুখে শট নেন ফেদে ভালভার্দে। তা অধিনায়ক নাচোর ছোঁয়া লাগার পর এক বায়ার্ন ফুটবলারের গায়ে লেগে আশ্রয় নেয় জালে। কিন্তু সেই গোল বাতিল হয় ভিএআরের কারণে। কেননা গোলের আগে ইয়োশুয়া কিমিখকে গলাধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেন নাচো। তাই গোল বাতিল করে ফাউলের সিদ্ধান্ত নেন রেফারি।