যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী হলেন পাপন

আওয়ামী লীগ সরকারের পঞ্চম মেয়াদে যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী হয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। আজ সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে শপথ নেওয়ার পর মন্ত্রিসভার সদস্যদের দায়িত্ব বণ্টন করে করে দেওয়া। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পাপনের কাঁধে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-৬ আসন থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন পাপন। এরপরই জানা যায় মন্ত্রী হতে যাচ্ছেন তিনি। আজ শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের আগ দিয়ে তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল মন্ত্রী হওয়ায় বিসিবি সভাপতির পদ ছেড়ে দেবেন কি না।

জবাবে পাপন বলেন, ‘আইসিসির এখন কতগুলো নিয়ম আছে, ইচ্ছে করলেই ছেড়ে দেওয়া যায় না। কারণ আইসিসির যে কমিটিগুলোতে আমি আছি, আমি আবার চেয়ারম্যানও আছি। ওই দায়িত্বগুলো ওদের টার্ম শেষ হওয়ার আগে করা যায় না। আমার জানা মতে এ বছরের শেষে এসে একটি। ’

‘আর আমাদের স্বাভাবিক নিয়ম হচ্ছে যে আমার এই মেয়াদ শেষ করতে হবে, তাহলে আমার সামনের বছরে যেতে হবে। আমি চেষ্টা করবো যত তাড়াতাড়ি সম্ভব যদি পারি তাহলে ছেড়ে দেবো। ’

ক্রিকেট ছাড়তে পারবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে পাপন বলেন, ‘ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতির দায়িত্ব ছাড়বো। ক্রিকেট কোনোদিন ভুলার জিনিস না। এটা তো ছাড়তে পারবোই না। সভাপতি না থাকি বা পরিচালক না থাকলেও ক্রিকেট নিয়েই থাকবো। এটা থেকে বের হওয়ার কোনো পথ নেই। ’

এদিকে পাপনকে যেকোনো ধরনের সহযোগিতা করতে রাজি আছেন সাবেক ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। মন্ত্রী হিসেবে আজ নিজের শেষ কর্মদিবসে তিনি বলেন, ‘ক্রীড়া আমার প্রাণ। মন্ত্রণালয়ে যিনিই আসুক আমার সহযোগিতা চাইলে অবশ্যই আমি দেব। তিনি যদি নাও চান, আমি যেচে গিয়েও দেব। ক্রীড়াঙ্গনের উন্নয়ন আমার প্রত্যাশা। ’