মমিন সরকারের পরিচালনায় বরিশাইল্লা বাটপার

রাজীব মণি দাসের রচনা ও মমিন সরকারের পরিচালনায় টেলিফিল্ম ‘বরিশাইল্লা বাটপার’। টেলিফিল্মের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছে- আ.খ.ম হাসান, পুনম হাসান জুঁই, শফিক খান দিলু, তারিক স্বপন, ফাওজিয়া আবিদা মিহি, ফরিদ হোসাইন, নিথর মাহবুব, ক্লিনটন রোজারিও, ঋকি রিয়াফ, প্রমুখ।

পরিচালক সূত্রে জানা যায়, টেলেফিল্মটি খুব শিগগিরই যে কোনো একটি স্যাটেলাইট চ্যানেলে প্রচারিত হবে। তারপর টিওটি ড্রামা ইউটিউব চ্যানেলে টেলিফিল্মটি মুক্তি দেওয়া হবে।

গল্পে দেখা যায়

জীবন যুদ্ধে প্রতিটি মানুষই যেন একজন যোদ্ধা। শামীম অপরিচিত মানুষের কাছে নিজেকে এমনভাবে উপস্থাপন করে যেন সে দেশের মস্ত বড় কেউ। সে এমনভাবে চাপাবাজি করে যে, তার কথা অবিশ্বাস করার উপায়ও নেই। হঠাৎ করেই শামীমের সাথে পরিচয় হয় তুষারের। আলাপচারিতার মাধ্যমে তাদের মধ্যে গড়ে উঠে গভীর সম্পর্ক। তুষার বিভিন্ন মানুষের কাছে নিজেকে মন্ত্রীর ভাগীনা বলে পরিচয় দেয়। আনিস আবার উল্টো রথের যাত্রী। মিথ্যা কথাটা সে গুছিয়ে বলতে পারে না, সেই জন্য মাঝে মধ্যে তার অন্য বন্ধুদের বিপদের সম্মুখীন হতে হয়।

অন্যদিকে বিত্তবান পিতার একমাত্র মেয়ে নদী যদিও তার বয়স হয়েছে কিন্তু সে এখনো মনের মতো পাত্র না পাওয়ায় বিয়ে করেনি। নদীর কাছে শামীম তার পরিচয় গোপন করে, নিজেকে একজন শিল্পপতি হিসেবে উপস্থাপন করে। নদী তার কথা বিশ্বাস করে ভালবোসার ফাঁদে পা দেয়।

তিনবন্ধু অন্যের টাকায় রাজকীয় জীবন-যাপনে অভ্যস্থ হয়ে পড়ে। টাকাই যেন এদের কাছে সবকিছু, এই টাকার জন্য তিনবন্ধু কতটা নিচে নামতে পারে তা অকল্পনীয়। ভাবখানা এমন যেন প্রয়োজন হলে মানুষও খুন করতে পারবে তারা। কিন্তু বাস্তবে মুরগির রক্ত দেখলেও তাদের শরীরে রক্ত হিম হয়ে আসে। একপর্যায়ে তিনবন্ধু তাদের কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত হয়। এভাবেই তিনবন্ধুর বিভিন্ন মজার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এগিয়ে যায় গল্পের প্রত্যেকটি চরিত্র।